নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের অধিকাংশ কাচাবাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে। ব্যবসায়ীদের দাবি পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশি তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পরেছে। শুক্রবার সকালে নগরীর আড়তে গিয়ে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তের সংসারে সবজি কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, সম্প্রতি নি¤œচাপে নদনদী ও বৃষ্টির পানি উঠায় উত্তরবঙ্গে সবজি ক্ষেত তলিয়ে যায়, আর একারনেই চাহিদা মত সবজি রপ্তানি করতে পারছে না আমদানি কারক’রা। এতেই খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়ছে।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, একমাস যাবদ অধিকাংস সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরের মধ্যে ওঠানামা করছে।ঢেঁড়স ৬০ টাকায়, বরবটি ৫০টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, কাকরোল ৬০টাকা, শসা কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা, একমাস যাবদ কমছে না কাঁচামরিচের দাম আজও ২০০-২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শীতকালিন সবজির মধ্যে শিম বাজারে আসতে শুরু করেছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ধনেপাতাও দেখা মিলছে নগরীর দুই একটি কাচা বাজারে তবে দাম চড়রা ২৫০ টাকা কেজি প্রতি।এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০-৭০ টাকা, জালি কুমড়া ছোট ৪০ থেকে ৫০ টাকা আর বড়গুলো বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। বাজার করতে আসা আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। সপ্তাহে শুক্রবার ছুটি থাকায় বাজার করতে। কিন্তু এসে দেখি সব কিছুর দাম বেশি শুনে হিমশিম খাচ্ছি। এমনকি আগে দামাদামি করলে ৩ বা ৫ টাকা কমাতো দোকানদাররা। কিন্তু আজ কম রাখছেন না। এক দামেই বিক্রি করছেন। এটা দেখে কিছুটা অবাক লাগছে।’ তিনি বলেন, আমি সব সময় চৌমাথা বাজার করি। কারণ এখানে দাম কিছুটা কম থাকে। কিন্তু আজ এসে দেখি ৫০- ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। এদিকে নগরীর বিভিন্ন মাছ, মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়গরু মাংস ৫৫০-৬০০ টাকা কেজি, খাসি ৭৫০-৮০০,বয়লার মুরগি কেজি ১১০, সোনালি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Leave a Reply